সিবিএন ডেস্ক
ফেব্রুয়ারিতে নয়, জানুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, “নির্বাচন যত তাড়াতাড়ি হবে, আমাদের জন্য তত ভালো হবে।”
রোববার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে গণঅধিকার পরিষদের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
নুরুল হক নুর বলেন, “নির্বাচন সংঘাতপূর্ণ না শান্তিপূর্ণ হবে, তা শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নয়—বরং রাজনৈতিক দলগুলোর আচরণের ওপর নির্ভর করবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা শহীদদের চেতনা নিয়ে ব্যবসা করি, কিন্তু তাদের পরিবারের কেউ খোঁজ নেয় না। আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এই অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব ছিল। তারা তা না করায় দায় এ সরকারকেই নিতে হবে।”
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, “জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ না করলে আওয়ামী লীগ এই পার্টির মাধ্যমেই আবার ফিরে আসবে। তারা নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে।”
এ সময় নুর সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে বলেন, “কয়েকজন বিপথগামী জেনারেলের দায় সেনাবাহিনী নেবে না। সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক।”
সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আমরা গণঅধিকার পরিষদ গঠন করেছি। জুলাইয়ের রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থান আমাদের দিয়েছে একটি নতুন সুযোগ—গণতান্ত্রিক ও কল্যাণমূলক বাংলাদেশ গড়ার।”
তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সব দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অন্যথায়, আবারও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে।”
রাশেদ অভিযোগ করেন, “পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে ১/১১’র মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সরকার ফেরানোর চক্রান্ত চলছে।”
